facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

খেলাপি ঋণের অর্থ দিয়ে দুটি পদ্মাসেতু নির্মাণ করা সম্ভব


২৫ জানুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার, ১০:৩২  এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


খেলাপি ঋণের অর্থ দিয়ে দুটি পদ্মাসেতু নির্মাণ করা সম্ভব

গত ১০ বছরে ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে যাদের, তাদের কাছ থেকে ৬৫ হাজার ৬০২ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভবপর হয়নি।

বুধবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এই ঋণ খেলাপির তালিকায় আছে ১ হাজার ৯৫৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

যে ১০ বছরের খেলাপি ঋণের হিসাব অর্থমন্ত্রী দিয়েছেন, তার নয় বছরই ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ।

খেলাপি ঋণের এই অর্থ দিয়ে দুটি পদ্মা সেতুর ব্যয় মেটানো সম্ভব।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছেন।

খেলাপি ঋণ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের বড় সমস্যা হিসেবে মুহিতও স্বীকার করছেন। খেলাপি ঋণের হার দুই অঙ্কের কোঠা অতিক্রম করে যাওয়ায় অর্থনীতি বিশ্লেষকরাও উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন।

অর্থমন্ত্রী মুহিত সংসদে বলেন, ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণতথ্যের ভিত্তিতে বিগত ১০ বছরে ১০ কোটি টাকার অধিক ঋণ নিয়েছে ৮ হাজার ৭৯১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

“এসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া হয়েছে ৬ লাখ ৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৬০২ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ৭২ হাজার ৫০ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া ৯১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ঋণের পরিমাণ, ঋণ গ্রহীতা ৮ হাজার ৭৯১টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ঋণ আদায় করা সম্ভব হয়নি এমন ১ হাজার ৯৫৬ জন খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামও উল্লেখ করেন।

খেলাপি ঋণ নিয়ে উদ্বেগ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের খেলাপি ঋণ নিয়ে উদ্বেগ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের
খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকায় প্রথম ২০টির মধ্যে রয়েছে, মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স, মেরিন ভেজিটেবল অয়েল, কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস, বেনেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আনোয়ারা স্পিনিং মিলস, চৌধুরী নিটওয়ারস, সিদ্দিক ট্রেডার্স, ইয়াসির এন্টার প্রাইজ, আলাপ্পা কম্পোজিট টাওয়ালস, লিজেন্ড হোল্ডিংস, হলমার্ক ফ্যাশন্স, মুন্নু ফেব্রিক্স, ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল, ফেয়ার ট্রেড ফেব্রিক্স, শাহারিশ কম্পোজিট টাওয়ালস, কেয়া ইয়ার্ন মিলস, সালেহ কার্পেট মিলস, ফেয়ার ইয়ার্ন প্রোসেসিং, হেল্পিং রিসোর্স, বিসমিল্লাহ টাওয়ালস।

সংসদে আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, দেশে এখন করদাতার সংখ্যা ৩১ লাখ।

তিনি একই সঙ্গে বলেন, “এটা দেশের জন্য লজ্জাজনক। কারণ ১৬ কোটি মানুষের দেশে করদাতার সংখ্যা হওয়া উচিত ১ কোটি ৬০ লাখ।”

২০২১ সালের মধ্যে করদাতার সংখ্যা ৫০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যের কথাও জানান অর্থমন্ত্রী।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: