২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার, ০৯:৪০ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
প্রতীকী ছবি |
আমার এককালীন ছাত্র আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন- ঘরের মধ্যে থেকে রাজনীতি করেন অথবা অফিসে বসে রাজনীতি করেন। ঘরের মধ্যে থেকে যে রাজনীতি হয় না- এখন এই তরুণকে আমি কেমন করে শেখাব? শেখাতে ব্যর্থ হয়েছি হয়তো।
বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগেরই ছাত্র ছিলেন ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি তিনি বিএনপিকে ঘরে বসে, অফিসে বসে রাজনীতি করার অনুরোধ করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বললেন বিএনপিপন্থী এই শিক্ষক।
এমাজউদ্দীন আহমদ
এমাজউদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথাটা খানিকটা শুনে রাখা ভালো। এভাবে দিন চললে তারপর পরিস্থিতি এমন অবস্থায় আসবে যখন আপনা-আপনি গতিটা দ্রুত হবে। হিংসাত্মক হওয়ার দরকার নেই। এজন্য অপেক্ষা বেশি দিন করার দরকার হবে না। কারণ, হিংসা-প্রতিহিংসা, নতুন হিংসা-প্রতিহিংসার জন্ম দেয়।
তিনি বলেন, নির্বাচন ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ১০ থেকে সাড়ে ১০ লাখ মানুষ প্রায় ৫০ হাজার মামলায় আসামি বা জড়িত হয়ে আছে। তাদের অনেকে কারাগারে, নির্বাচনের আগে তাদের প্রস্তুতিপর্ব চলতে দিতে হবে।
ধানমন্ত্রীকেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের আবহ তৈরি করে দিতে হবে। এসব না করে কিছুতেই নির্বাচনের দিকে যাওয়া যাবে না।
ওবায়দুল কাদের
প্রসঙ্গত, রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের (আইইবি) সেমিনার হল রুমে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির প্রথম সভায় বক্তব্য দেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এসময় সেতুমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসূচিকে সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আপনারা যদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেন, তাহলে ঘরে বসে আন্দোলন করুন, অফিসে করুন। রাস্তায় কেন? জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন কেন?’
মন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ করে কোনও সভা-সমাবেশ করা যাবে না। আপনারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নামে অশান্তিপূর্ণ ক্ষেত্র তৈরি করছেন। ৫ জানুয়ারি মতো কার্যক্রম করা কি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জেলে থাকা শর্ট, মিড, না লং ট্রাম হবে, তার সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত। খালেদা জিয়া এখন উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। উচ্চ আদালত যদি জামিন দেন, তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই। যদি আদালত অনুমতি দেন, তাহলে নির্বাচনে অংশ নিলেও আমাদের কিছু করার নেই। এর সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া জামিন পেলে নিয়ম অনুযায়ী পাবেন। না পেলে আদালত দেখবেন। এখানে সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ নেই। আমাদের নেত্রী বলেছেন, অপকর্ম অপকর্মই আর অপরাধ অপরাধই।কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।