facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

কমলো চিনির দাম


০৯ জুলাই ২০১৭ রবিবার, ০৫:৫৮  এএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


কমলো চিনির দাম

চিনির দাম কমেছে। রাজধানীর পাইকারি বিক্রয়কেন্দ্র মৌলভীবাজারে এখন চিনির পাইকারি দর কেজিপ্রতি ৫৮-৬০ টাকা, যা রোজায় ৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। অন্যদিকে সরবরাহ আদেশ (এসও) মূল্য আরও কম, কেজিপ্রতি ৫৩ টাকা নেমেছে।

শুধু চিনি নয়, দর কমেছে রসুন ও ছোলারও। রোজায় চীনা রসুনের দাম কেজিপ্রতি ৪০০ টাকায় উঠেছিল, যা এখন বাজারে ১৫০ টাকায় মিলছে। ছোলার দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা।

অবশ্য বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখন পণ্যের চাহিদা কম। খুচরা বিক্রেতারা আগে কিনে রাখা পণ্য বিক্রি করছেন। ফলে অনেক ক্ষেত্রে খুচরা দোকানে পাইকারি বাজারে দরপতনের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

রোজায় গত বছরের মতো এ বছরও চিনির দাম বেড়ে গিয়েছিল। বড় বাজারে যে চিনি ৬৬-৬৮ টাকায় পাওয়া যেত, তা রোজা ঘনিয়ে আসার পর উঠেছিল ৭৫ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে ছোট বাজার ও পাড়ার মুদি দোকানে চিনি বিক্রি হয়েছে ৭৮-৮০ টাকা কেজিতে। অবশ্য রোজার শেষ দিকে দাম কিছুটা কমে যায়।

রাজধানীর মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আবুল হাশেম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শনিবার সেখানে চিনির সরবরাহ আদেশ মূল্য ছিল কেজিপ্রতি ৫৩ টাকা। যা কারখানা থেকে আসার পর পাইকারি বাজারে ৫৬-৫৭ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হওয়ার কথা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে চিনির কেজিপ্রতি দর উঠেছিল ৭৫ টাকায়, যা এখন ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বাজারে পণ্যটি ৭২ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে মিলছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম গত কয়েক মাস ধরেই পড়তি। ফলে রোজায় পণ্যটির দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ ছিল না। তবে বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে নিত্যপণ্যটির দাম ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, আন্তর্জাতিক
বাজারে জুন মাসে চিনির দাম টনপ্রতি ৩১০ ডলারে নেমেছে, এপ্রিলে যা ৩৬০ ডলার ছিল।

রোজায় সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছিল রসুনের, রোজা শেষে বেশি কমেছে এ পণ্যটির দাম। কারওয়ান বাজারে রোজার শুরুর দিকে চীনা রসুন কেজিপ্রতি ৪০০ টাকায় উঠেছিল। তখন বিক্রেতারা জানিয়েছিলেন, পণ্যটির সরবরাহ না থাকায় দাম বাড়ছে। অন্যদিকে চীনা রসুনের হাত ধরে দেশি রসুন উঠেছিল ১৬০ টাকা কেজিতে। কারওয়ান বাজারে এখন চীনা রসুন ১৫০ টাকা ও দেশি রসুন ১২০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য বাজারে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের না জানার সুযোগে দাম ধরে রেখেছেন খুচরা বিক্রেতারা।

রাজধানীর পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের নবীন ট্রেডার্সের মালিক নারায়ণ চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, চীনে নতুন মৌসুম শুরুর পর রসুনের দাম কমেছে। এ কারণে দেশেও কমেছে। শ্যামবাজারে চীনা রসুন ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি, যা রোজায় ২০০ টাকায় উঠেছিল।

রোজায় ছোলার দাম মানভেদে ৮৫-৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এখন সেটা ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় নেমেছে।

কাঁচাবাজারে কাঁচা মরিচ ও ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। মাছের বাজারে কিছুটা কমেছে ইলিশের দাম। কারওয়ান বাজারে কাঁচা মরিচ মিলছে ৮০ টাকা কেজি দরে। তবে অন্যান্য বাজারে ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ চাইলে বিক্রেতা ১৫ টাকা দাম হাঁকছেন। এতে কেজি পড়ছে ১৫০ টাকা। অবশ্য বেশি কিনলে দাম আরও কমে মিলছে। ডিমের দাম হালিতে ৪ টাকা বেড়েছে। ২৬ টাকা হালির ডিম এখন ৩০ টাকায় মিলছে।

বাজারে ইলিশের সরবরাহ আগের চেয়ে বেশ কিছুটা বেড়েছে। দামও কিছুটা কমেছে। ৬০০ গ্রাম ওজনের একেকটি ইলিশের জোড়া মিলছে ১ হাজার টাকায়। অন্যদিকে এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের কেজিপ্রতি দর দেড় হাজার টাকা। বিক্রেতারা বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে এখন বেশ ইলিশ ধরা পড়ছে বলে দাম কিছুটা কমেছে।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: