facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

ওইম্যাক্সের শেয়ার বিওতে জমা


২৯ অক্টোবর ২০১৭ রবিবার, ০২:৩২  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


ওইম্যাক্সের শেয়ার বিওতে জমা

লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসেবে পাঠিয়েছে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওইম্যাক্স ইলেকট্রোড লিমিটেড। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে, শিগগিরই দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে বলে জানা গেছে।

সূত্র মতে, ওইম্যাক্স ইলেকট্রোডোর আইপিও লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে লটারির ড্র অনুষ্ঠান হয়।

জানা গেছে, কোম্পানির আইপিওতে ৬২৩ কোটি টাকার আবেদন জমা পড়েছে। ১৫ কোটি টাকার আইপিও’র বিপরীতে যা ৪১.৫৩ গুন বেশি। তবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, জেনারেল কোটায় ৭৩ গুন এবং ইলিজিবল ইনভেষ্টরের কোটায় ১০ গুন বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত সকল প্রকার বিনিয়োগকারীরা কোম্পনির আইপিওতে আবেদন জমা নেয়া হয়। এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৬০৪তম সভায় এ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা যায়, পুঁজিবাজারে ১০ টাকা দরে ১ কোটি ৫০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোড। আর উত্তোলিত টাকা দিয়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ক্রয় এবং আইপিও খাতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি।

৩০ জুন, ২০১৬ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২ টাকা ৩ পয়সা। একই সময়ে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ১৪ টাকা ৮৭ পয়সা।

প্রকৌশল খাতের ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোড লিমিটেডের ২০১৬-১৭ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ১০ শতাংশ বেড়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৫৭ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.৪৩ টাকা।

এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকের শেষ তিন মাসে (জানুয়ারি’১৭-মার্চ’১৭) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০.৫৩ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৪৬ টাকা।

এছাড়া চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই’১৬ থেকে সেপ্টেম্বর’১৬) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০.৫০ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৫৩ টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’১৬-ডিসেম্বর’১৬) ইপিএস হয়েছে ০.৫৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৪৪ টাকা।

কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ৮৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির কোন পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয় না। কোম্পানিটি বছরে ৭ হাজার ৩৪২ মেট্রিক টন পণ্য উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে।

কোম্পানিটি ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোড, জিআই ওয়্যার এবং নেইল (পেরেক) উৎপাদন করে। ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি মোট ৪১ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোড থেকে আয় এসেছে ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বা ১৪ শতাংশ, জিআই ওয়্যার থেকে এসেছে ১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা বা ৩৪.৪৮ শতাংশ এবং পেরেক বিক্রি থেকে আয় এসেছে ২১ কোটি ১৩ লাখ টাকা বা ৫১.৫২ শতাংশ।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: