facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

শরীয়তপুরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণে আটক ২


০৩ এপ্রিল ২০১৭ সোমবার, ০৪:২৪  পিএম

এমএ ওয়াদুদ মিয়া, শরীয়তপুর

শেয়ার বিজনেস24.কম


শরীয়তপুরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণে আটক ২

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ এক ধর্ষনকারী ও অপর ধর্ষণকারীর মাকে আটক করেছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি জপসা গ্রামের আফজাল হাওলাদারের মেয়ে। সে জপসা একান্দোয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

ধর্ষণের শিকার শিশুটির স্বজনরা জানায়, শনিবার বিকেলে শিশুটি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে সহপাঠিদের সাথে খেলা করছিল। এ সময় একই গ্রামের নূরুজ্জামান হাওলাদারের ছেলে রাকিব (১৪) এবং সদর উপজেলার আটপাড়া গ্রামের খোকন মাদবরের ছেলে কবির (১৩) শিশুটিকে খেলার ছলে ফুঁশলিয়ে পাশ^বর্তী বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির চিৎকার শুনে তার সহপাঠীরা তাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। পরিবারের সদস্যরা নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরে তাকে দ্রুত শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে শিশুটির স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় শনিবার রাত ১০টায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ধর্ষণকারীরা শিশুটির প্রতিবেশী  এবং আত্মীয় বলে জানিয়েছেন এলকাবাসী। পরিবারের সদস্যরা শিশু নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। শিশুটির মা রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে পুলিশ এক ধর্ষণকারী  ও অপর ধর্ষণকারীর মাকে আটক করেছে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগের ডাক্তার আম্বিয়া আলম কনা বলেন, ধর্ষণের কারণে শিশুটির শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার রাতেই শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইকরাম আলী মিয়া বলেন, শনিবার বিকেলে জপসা ইউনিয়নের হাওলাদার কান্দি গ্রামে একটি শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। শিশুটির মা ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে নড়িয়া থানায় দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের একজন ঐ বাড়িরই লোক এবং অপর জন তাদের আত্মীয়। অভিযুক্ত কবির হোসেনকে রোবার সন্ধ্যায় আটক করা হয়েছে। অপর অভিযুক্ত রাকিবের মা লাকি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। রাকিবকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, রোববার সকালে আমি নির্যাতিত শিশুটির বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, শিশুটির অবস্থা এখনো আশংকা জনক। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আই.সি.ইউ’তে নিবির পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসক মহাদয়ের নির্দেশে শিশুটির পরিবারকে আমরা সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করবো।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: