facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্সের আইপিও লটারির ফল প্রকাশ


২৩ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার, ০৭:১২  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্সের আইপিও লটারির ফল প্রকাশ

পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারি ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় কঁচিকাচার মেলা প্রাঙ্গণে আগের নিয়মে সরসরি লটারি ড্র হয়। একই সঙ্গে ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানির ড্র হয়।

 লটারির ফলাফল জানতে ক্লিক করুন:

ট্রেকহোল্ডার ও মার্চেন্ট ব্যাংকের তালিকা

সাধারণ বিনিয়োগকারী

ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী

প্রবাসী বিনিয়োগকারী

কোম্পানিটির আইপিওতে মোট ১৫৮ কোটি টাকার বা ৬ গুণ আবেদন জমা দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ভাগ্যবান বিনিয়োগকারীদের বাছাই করা হয়।

কোম্পানিটিতে ১১৫ যোগ্য বিনিয়োগকারী আইপিওতে আবেদন করেছে। আর আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৮টি বিও থেকে আবেদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকার আবেদন করা হয়েছে।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কেএম সাইদুর রহমান জানান, কোম্পানির আইপিওতে প্রায় ১৫৮ কোটি টাকার বা ৬ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। এজন্য আগামি ২৩ জুলাই ভার্চুয়ালি লটারি করার অনুমোদন চেয়ে বিএসইসির কাছে আবেদন করেছি। আর আইপিওতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৮টি বিও থেকে আবেদন করা হয়েছে। এবং ১১৫ যোগ্য বিনিয়োগকারী আবেদন করেছে।

তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, করোনার মহামারী চলাকালীন আমাদের কোম্পানির উপর বিশাল আস্থা রাখার জন্য সকল মূল্যবান বিনিয়োগকারীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এবং বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই, আইডিআরএ, ব্রোকারেজ হাউস, সিডিবিএল, ইস্যু ম্যানেজার, বিনিয়োগকারীদের ফোরাম, সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিওতে আবেদন সংগ্রহ করার জন্য দ্বিতীয় দফায় গত ১৪ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।

এর আগে আইপিও আবেদন গ্রহণের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি অনুমোদন জানিয়ে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সকে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।

এদিকে গত ১৮ জুন (বৃহস্পতিবার) কোম্পানিটির আইপিও আবেদনের পুনর্নির্ধারিত সময় শেষ হয়। তবে এই সময়কে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন জানানো হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়ে দেয় বিএসইসি।

কোম্পানিটির গত ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত আইপিও আবেদনের সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল।

এর আগে করোনাভাইরাস ইস্যুতে দেশের পুঁজিবাজার ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকার কারনে আবেদন গ্রহণ শুরু করা সম্ভব হয়নি।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪২ টাকা এবং পুনমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৭২ টাকায়। যা পুনমূল্যায়ন ছাড়া ১৬.৬৫ টাকা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।

ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমে (ইএসএস) কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে অংশগ্রহনে ইচ্ছুক প্রত্যেক যোগ্য বিনিয়োগকারীকে ইএসএস শুরুর পূর্বের ৫ম কার্যদিবস শেষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে কমপক্ষে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: