facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

একনজরে মঙ্গলবার বিএসইসি সভার সিদ্ধান্ত


২৩ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার, ০৮:৪২  পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট


একনজরে মঙ্গলবার বিএসইসি সভার সিদ্ধান্ত

ছয় ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত : সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) পাওনা অর্থ না দেওয়ায় ছয় ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর (ডিপি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের ৬৯৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, সিনহা সিকিউরিটিজের কাছে থেকে সিডিবিএল ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাবে। এছাড়া এম সিকিউরিটিজ থেকে ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, লোটাস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজের কাছে ২৯ লাখ টাকা, বানকো সিকিউরিটিজের কাছে ৪০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, ফার্স্ট লিড সিকিউরিটিজের কাছে ৩০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ও শাদ সিকিউরিটিজ থেকে ৬৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা পাবে। ডিপিগণকে কমিশন থেকে চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও উল্লেখিত পরিমাণ অর্থ অনাদায়ী রয়েছে। এই কার্যকলাপের মাধ্যমে ডিপিগণ আইন লংঘন করেছে। একইসঙ্গে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ফলে কমিশন উল্লেখিত ডিপিগণের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এনফোর্সমেন্ট বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

বাতিল হতে পারে এম সিকিউরিটজ ও ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজের সনদ : ক্রমাগত আইন ভঙ্গ ও গ্রাহকদের টাকা ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার এম সিকিউরিটিজের সনদ বাতিল বা স্থগিত করা হতে পারে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ না করলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজের সনদ বাতিল বা স্থগিত করা হতে পারে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৯৪তম কমিশন সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

এম সিকিউরিটিজ : হাউজটিতে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর গ্রাহকদের হিসাবে ঘাটতি ছিল ৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যা চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে সমন্বয় করার জন্য সময় বেধে দেয় কমিশন। এরপরে হাউজটি থেকে ২ দফায় আরও সময় বাড়ানোর আবেদন করা হলেও তা প্রত্যাখান করা হয়। তবে চলতি বছরের ২৭ জুনের মধ্যে সব ঘাটতি সমন্বয় করা হয়েছে বলে গত ২ জুলাই কমিশনকে জানায়। কিন্তু ডিএসই পরীক্ষা শেষে ৯৮ লাখ টাকা ঘাটতি পায়। এর মাধ্যমে হাউজটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুল ৮এ এর সাব রুলস (১) ও (২) ভঙ্গ করেছে। এছাড়া মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮ ভঙ্গ করেছে। যে কারনে কমিশন, হাউজটির বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১২ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যে বিধিতে নিবন্ধন সনদ বাতিল ও স্থগিতকরন করার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে গ্রাহকের হিসাবে ঘাটতি, পরিচালকদের হিসাবে ঋণ প্রদান ইত্যাদি কারনে এম সিকিউরিটিজকে ২০ লাখ টাকা ও ২ পরিচালককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া ২০১৮ সালের জানুয়ারিতেও প্রায় একই কারনে আরও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ : এক পরিদর্শনে ২০১৭ সালের ১৮ মার্চ হাউজটির সিলেট শাখায় ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ঘাটতি দেখা দেয়। বিভিন্ন সময় সিএসইর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পাওনার ২৯.১৫ শতাংশ অপরিশোধিত রয়েছে। যা পরিশোধে সিএসই চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে।

আজকের কমিশন সভায়, সিএসই থেকে ব্রোকারেজ হাউজটির প্রাপ্য লভ্যাংশ এবং সিএসই রেগুলেশনস, ২০১৩ এর অধীনে প্রাপ্য ফ্রি লিমিট চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাউজটি থেকে চলতি বছরের মধ্যে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ না করলে, সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১২ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যে বিধিতে নিবন্ধন সনদ বাতিল ও স্থগিতকরন করার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

৫ ট্রেকহোল্ডারের বিষয়ে জানতে চেয়েছে বিএসইসি : সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস ভঙ্গ করা ৫ ট্রেকহোল্ডারদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) ৫ দিনের মধ্যে তা জানাতে বলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিএসইসির ৬৯৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচারক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুলস ৩(৪) ভঙ্গ করা ৫ সিকিউরিটিজ হাউজ হলো : সিনহা সিকিউরিটিজ হাউজ, এমডি ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ হাউজ লিমিটেড, এ এন এফ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং পিএইচপি স্টকস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

জানা গেছে, ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সময়ের নেট ক্যাপিটাল ব্যালেন্স রিপোর্ট স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল না করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুলস ৩(৪) ভঙ্গ করেছে এই ৫ ট্রেকহোল্ডার।

সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত বিধি ভঙ্গের জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুলস ৩(৫) অনুযায়ী উক্ত ট্রেকহোল্ডারদের বিরুদ্ধে ডিএসই কি ব্যবস্থা গ্রহন করেছে তা আগামী ৫ দিনের মধ্যে কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে।

একই তথ্য ব্যবহারে খোলা একাধিক বিও বন্ধে সময় বাড়লো : একই জাতীয় পরিচায়পত্র, মোবাইল নাম্বার এবং ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে খোলা বিভিন্ন বিও হিসাব বন্ধের সময়সীমা আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিএসইসির ৬৯৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, একই জাতীয় পরিচায়পত্র, মোবাইল নাম্বার এবং ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে খোলা বিভিন্ন বিও হিসাব বন্ধের জন্য ২০ জুন এক সার্কুলারের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশ প্রদান করে। এই সার্কুলারের সময় ২১ জুলাই শেষ হয়েছে।

ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সময় সীমা ২১ অক্টোর ২০১৯ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে কোন কোন সদস্য এখনও সংশ্লিষ্ট আদেশ পরিচালনে ব্যর্থ হয়েছে তা ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে বলেছে বিএসইসি।

২ ফান্ডের খসড়া প্রসপেক্টাস অনুমোদন : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দুইটি বে-মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের খসড়া প্রসপেক্টাস অনুমোদন করেছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিএসইসির ৬৯৪তম সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ফান্ড দুইটি হলো : আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট শরিয়াহ ফান্ড এবং এজ এএমসি গ্রোথ ফান্ড।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচারক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, খসড়া প্রসপেক্টাস অনুমোদন পাওয়া বে-মেয়াদী আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট শরিয়াহ ফান্ডের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্র হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা। ফান্ডটির উদ্যোক্তার অংশ ৫ কোটি টাকা এবং সকল বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪৫ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা ইউনিট বিক্রয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করা হবে। এই ফান্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। ফান্ডটির উদ্যোক্তা এবং সম্পদ ব্যবস্থাপক আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। এছাড়া ফান্ডটির ট্রাস্টি এবং কাস্টডিয়ান হিসেবে কাজ করছে যথাক্রমে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।

বে-মেয়াদী এজ এএমসি গ্রোথ ফান্ডের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্র হচ্ছে ১০ কোটি টাকা। ফান্ডটির উদ্যোক্তার অংশ ১ কোটি টাকা এবং সকল বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা ইউনিট বিক্রয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করা হবে। এই ফান্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। ফান্ডটির উদ্যোক্তা এবং সম্পদ ব্যবস্থাপক এজ এএমসি লিমিটেড। এছাড়া ফান্ডটির ট্রাস্টি এবং কাস্টডিয়ান হিসেবে কাজ করছে যথাক্রমে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং ব্র্যাক ব্যাংক।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: