facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

ঈদের পর বাজারের গতি বাড়বে (ভিডিও)


১৫ আগস্ট ২০১৮ বুধবার, ১১:১৭  এএম

ডেস্ক রিপোর্ট


ঈদের পর বাজারের গতি বাড়বে (ভিডিও)

পৃথিবীর সব জায়গায় ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি অর্থের জোগান দেয় আর দীর্ঘমেয়াদি অর্থের জোগান দেয় পুঁজিবাজার। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো। শিল্পায়নের জন্য আমরা ব্যাংকের দিকে ঝুঁকছি অথচ পুঁজিবাজারকে ব্যবহার করছি না। ভালো কোম্পানিগুলোকে বাজারে তালিকাভুক্ত করতে না পারায় অনেকেই পুঁজিবাজারে আসতে চান না। এটি আমাদের ব্যর্থতা; কারণ পুঁজিবাজারে আসার সুফলগুলো আমরা তাদের বোঝাতে পারিনি। এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়। মোশতাক সাদেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন বিএমএসএলের এমডি ও সিইও রিয়াদ মতিন এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিওও ফাহমিদা হক। অনুষ্ঠানটি গ্রন্থনা ও সম্পাদনা করেন হাসিব হাসান।

রিয়াদ মতিন বলেন, কিছুদিনের তুলনায় বর্তমান পুঁজিবাজার ভালো অবস্থানে। তবে এটিকে আমি ভালো বলব না। কারণ বাজার আরও ভালো হওয়া উচিত এবং এটি এখনও পুরোপুরি গতিশীল অবস্থানে যেতে পারেনি। পুঁজিবাজারের ট্রেড ভলিউম যার ওপর বাজারের গতিশীলতা নির্ভর করে, তা এখনও আশাব্যঞ্জক হয়নি। তাছাড়া সামনে ঈদ। একে কেন্দ্র করে সব সময়ই বাজার একটু ধীরগতিতে থাকে, যা আগেও দেখেছি অনেকবার। এ সময় সবার মনোযোগ ঈদের দিকে থাকে। ফলে বাজারে সক্রিয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কম থাকে। আমার ধারণা, ঈদের পর বাজারের গতিবিধি বাড়বে। আর একটি বিষয় হচ্ছে, তিন-চার মাস পর দেশের জাতীয় নির্বাচন। তখন দেশের কী অবস্থা হয় তা বিনিয়োগকারীরা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং সে অনুযায়ী বাজারে বিনিয়োগ করবেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর সব জায়গায় ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি অর্থের জোগান দেয় আর দীর্ঘমেয়াদি অর্থের জোগান দেয় পুঁজিবাজার। কিন্তু আমাদের এখানে উল্টোটি ঘটছে। শিল্পায়নের জন্য আমরা ব্যাংকের দিকে ঝুঁকছি; অথচ পুঁজিবাজারকে ব্যবহার করছি না। দেশের পুঁজিবাজারে কেউ আসতে চান না। ভালো কোম্পানিগুলোকে আমরা বাজারে তালিকাভুক্ত করতে পারছি না। এটি আমাদের ব্যর্থতা; কারণ তারা পুঁজিবাজারে আসলে কী কী সুবিধা পাবে বা হবে, তা আমরা এখনও তাদের বোঝাতে পারিনি।

ফাহমিদা হক বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজারের টার্নওভার প্রত্যাশিত অবস্থায় নেই এবং বেশ কিছুদিন যাবৎ আমার মনে হচ্ছে বাজারে কোনো সামঞ্জস্যতা নেই। আজকে একটি বাড়ছে তো কাল আরেকটি শেয়ারের দর বাড়ছে। মানে, বাজারের কোনো কিছুই একই ধারাবাহিকতায় আসছে না। কিছুদিন আগেও বাজারে যে একটি ট্রেন্ড ছিল, তা বর্তমানে লক্ষ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের শেয়ারগুলো ভালো ইপিএস ঘোষণা করেছে। তবে ব্যাংক খাতের সবারই যে ভালো ইপিএস এসেছে তা নয় কিন্তু অধিকাংশরই ভালো ছিল। এ খাতের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা হয়তো কিছুটা ফিরেছে। কারণ ব্যাংক খাতের গতিবিধি ইদানীং বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। তবে কিছু কারণে এ খাতের ওপর মানুষের অনাস্থা ছিল। যেমন ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ এবং আমানতের সুদহার ছয় শতাংশ করা। এখানে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ করা গেলেও আমানতের সুদহার ছয় শতাংশ করা যাচ্ছিল না। কারণ বর্তমান বাজারে ব্যক্তি ডিপোজিট কম এবং সঞ্চয়পত্রের সুদহার বেশি হওয়ায় সবার আগ্রহ সেদিকেই। পরবর্তীকালে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর কথা বলায় সবার মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল। কারণ এটি করা হলে আমানত কিছুটা বাড়ত, সঙ্গে পুঁজিবাজারে কিছু ফান্ড আসত।

ভিডিও-

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: