facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

ইয়াকিন পলিমারের আইপিও প্রকল্প জানুয়ারিতে


১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শুক্রবার, ০৩:২০  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


ইয়াকিন পলিমারের আইপিও প্রকল্প জানুয়ারিতে

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থের ব্যবহার সম্পন্ন করতে যাচ্ছে ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড। এক বছর আগে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থে সম্প্রসারিত কারখানা ভবনের কাজ প্রায় শেষ করেছে বলে জানিয়েছেন এর কর্মকর্তারা।

যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এলসির সাহায্যে বিদেশী প্রতিষ্ঠানে ক্রয়াদেশও জমা দিয়েছে তারা। তবে সব যন্ত্রপাতি স্থাপনের প্রক্রিয়া শেষ করে বর্ধিত কলেবরে উৎপাদন শুরু করতে জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কোম্পানিকে।

ইয়াকিন পলিমারের চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ারুল হক বলেন, শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থের ব্যবহারে শুরু থেকেই সচেতন ছিল ইয়াকিন পলিমার। ভবন নির্মাণসহ কারখানার আনুষঙ্গিক কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এলসির (লেটার অব ক্রেডিট) মাধ্যমে যন্ত্রপাতি আমদানির ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছে আগেই। ভেন্ডরদের অর্থও পরিশোধ করা হয়ে গেছে। নভেম্বরের আগেই ইউরোপ থেকে এসব যন্ত্রপাতি দেশে পৌঁছাবে। সব যন্ত্রপাতি স্থাপন করে জানুয়ারিতে আমরা সেখানে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারব। এর মাধ্যমে কোম্পানির উৎপাদন-সক্ষমতা ৩০ শতাংশ বাড়বে। পাশাপাশি পণ্যেও কিছু বৈচিত্র্য আসবে।

জানা গেছে, ব্যবসা সম্প্রসারণে যন্ত্রপাতি ক্রয়, কারখানা ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক খরচের জন্য শেয়ারবাজার থেকে ২০১৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ইয়াকিন পলিমার। এর মধ্যে কারখানার ভবন নির্মাণে ৫ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনার কথা জানায় কোম্পানিটি।

ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইপিও অর্থ ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইয়াকিন পলিমারের। তবে নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার আগেই সম্পূর্ণ অর্থ ব্যয় হয়েছে বলে দাবি করছেন কোম্পানির কর্মকর্তারা। এদিকে ৩১ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেয়া আইপিও অর্থ ব্যবহার প্রতিবেদন অনুসারে, তখন পর্যন্ত আইপিও তহবিলের ৩১ শতাংশ অব্যবহূত ছিল।

ডিএসইতে দেয়া ওই তথ্যে কোম্পানি জানায়, কারখানার ভবন নির্মাণ, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যন্ত্রপাতি আমদানি করতে এলসি খোলার কাজ সম্পন্ন করেছে ইয়াকিন পলিমার।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসই) অনুমোদনের পর গত বছর শেয়ারবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ইয়াকিন পলিমার। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে দুই কোটি শেয়ার ছেড়ে এ অর্থ উত্তোলন করে তারা। ওই বছরের ১০ থেকে ২০ জুলাই চাঁদাগ্রহণ করে অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে ২২ সেপ্টেম্বর দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয় কোম্পানিটির।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৬-১৭ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ইয়াকিন পলিমারের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৬৯ পয়সা। ২০১৬-এর ১ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানির মোট বিক্রি দাঁড়ায় ২৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, শেয়ারবাজারে আসার আগে ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধিতে থাকলেও তালিকাভুক্তির বছরই ইয়াকিন পলিমারের মুনাফা কমেছে। ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির করপরবর্তী মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির করপরবর্তী মুনাফা ছিল ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ইয়াকিন পলিমার। তখন এর ইপিএস ছিল ১ টাকা ১ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ১ টাকা ৪১ পয়সা।

ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের সর্বশেষ এনটিটি (সার্ভিল্যান্স) রেটিং অনুসারে, ইয়াকিন পলিমারের ঋণমান ‘ট্রিপল বি-টু’।

১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের এ কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রিজার্ভ ১৬ কোটি ৩ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩০ দশমিক ৫২ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ১৬ দশমিক শূন্য ৬ ও বাকি ৫২ দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

ডিএসইতে সর্বশেষ ২৭ টাকা ৬০ পয়সায় ইয়াকিন পলিমারের শেয়ার হাতবদল হয়। গত এক বছরে এর শেয়ারদর ২৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৪৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। লেনদেন শুরুর প্রথম দিনেই ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ইস্যুমূল্যের তুলনায় ২২৪ শতাংশ বেড়েছিল।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: