facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন চট্টগ্রাম আবাহনীর


০৫ জুন ২০১৭ সোমবার, ০৮:৪৮  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন চট্টগ্রাম আবাহনীর

একটি জয় চট্টগ্রাম আবাহনীকে গড়ে দেবে নতুন ইতিহাস। আর সে জয়টি পেতে হবে দেশের অন্যতম শক্তিশালী ক্লাব ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ম্যাচটি জিতলে চট্টলার জায়ান্টদের খাতায় প্রথম লেখা হবে ‘ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন।’ গত মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে ঢাকা আবাহনীকে হারিয়েই প্রথম বড় শিরোপা জিতেছিল চট্টগ্রামের আকাশি-হলুদরা। এবার কি পারবে তারা?

সোমবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ-অধিনায়কের কণ্ঠে ছিল ইতিহাস সৃষ্টির প্রত্যয়। ক্লাবকে নতুন উপহার দিতে এত কাছ থেকে ফেরত যেতে চাইছেন না তারা। কিন্তু এটাও মানছেন, ঢাকা আবাহনী অনেক শক্তিশালী। এ দলটিকে হারাতে হলে যোগ্যতার চেয়েও বেশি কিছু ঢেলে দিতে হবে মাঠে।

অধিনায়ক জাহিদ হোসেনের একটিই কথা, ‘গতবার আমার নেতৃত্বে আবাহনী জিতেছিল স্বাধীনতা কাপ। এবার দিতে চাই ফেডারেশন কাপের ট্রফি। আমাদের দলের সবাই পরীক্ষিত। গতবার ভালো পারফরম্যান্স করাতেই এবার তাদের দলে নেয়া হয়েছে। নিজেদের জন্যই শেষ ম্যাচটিতে ঘামের শেষ বিন্দু ঢালতে প্রস্তুতি তারা।’

ফাইনালে এক দল জিতবে, আরেক দল হারবে- এটাই নিয়ম। ফাইনালে ওঠাও তো কম কথা নয়। চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ সাইফুল বারী টিটু প্রথমত সেই খুশির কথাই জানালেন সংবাদ সম্মেলনে, ‘ফাইনালে উঠতে পেরে আমি খুব খুশি। এটা প্রাক মৌসুম টুর্নামেন্ট। তারপরও একটা টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা গর্বের ব্যাপার। পুরো মৌসুমের জন্য আমাদের প্রস্তুত হওয়ার যে ব্যাপারটা ছিল, দেড় মাস ধরে সেটা করেছি। আমাদের টার্গেট ছিল ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার উন্নতি করা। কিছু কিছু জায়গায় উন্নতি হয়েছে।’

চট্টগ্রাম আবাহনীর জন্য প্রথম ফেডারেশন কাপের শিরোপা জয়ের হাতছানি। এটা কোনো চাপ কিনা তা জানতে চাইলে সাইফুল বারী টিটু বলেন,‘দেখুন ট্রফির স্বাদ কি সেটা গত মৌসুমেই পেয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। তাই সব সময় চাপ নিলে সেটা ভালো হয় না। তবে কখনো কখনো ভালো হয় বৈ কী? চাপ নিলে ফোকাসটা বাড়ে। তাতে বোঝা যায় খেলোয়াড়রা খেলাটা নিয়ে চিন্তা করছেন। ওরাতো পেশাদার ফুটবলার। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফরম্যান্স করতে পারলে তাদেরই লাভ। ওদেরকে আমি সেভাবেই মোটিভেটেড করার চেষ্টা করেছি।’

রহমতগঞ্জের বিপক্ষে সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী জিতলেও খেলাটা দৃষ্টিনন্দন ছিল না। ওই ম্যাচটিকে অবশ্য আর ভাবনায় আনতে চান না জাতীয় দলের সাবেক এ কোচ, ‘সেমিফাইনালে চলে গেছে। ওটা অতীত। সামনের ম্যাচটি নতুন। সেভাবেই চিন্তা করতে হবে। সেমিফাইনাল নিয়ে আমরাও খুশি না। আমাদের অনেক ভুলত্রুটি ছিল। লীড নেয়ার পর আরো বল পজিশনে রাখা উচিত ছিল। সেটা হয়নি। আবাহনী শক্তিশালী দল। তবে ফাইনাল সবসময় ফাইনাল-ই। কে জানতো জুভেন্টাস ৪ গোল খাবে রিয়ালের কাছে? ফুটবলে যে কোনো কিছুই হতে পারে।’

প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনী, গত মৌসুমের দুটি শিরোপাজয়ী দল। ম্যাচটিতো টাফই হবে। তবে চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক জাহিদ হোসেনের কাছে ফাইনাল ততোটা টাফ মনে হচ্ছে না। ব্যখ্যাও তিনি দিয়েছেন ‘আসলে টাফ ম্যাচগুলো জিতেই এ পর্যায়ে এসেছি। খেলে আসা চারটি ম্যাচই টাফ ছিল। আমরা ১১ জন আছি, সবাইকে পারফর্ম করতে হবে। এসব ম্যাচ ফিফটি-ফিফটি হয়। দলে এক দুইজন ভালো ফুটবলার থাকে। তারা ভালো খেলবে টিম জিতে যায়।’

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: