facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

হায়রে বিদেশি বিনিয়োগ, তার মূল্য এত বেশি কেন


০৫ এপ্রিল ২০১৭ বুধবার, ০৫:৩১  পিএম

আবু আহমেদ

শেয়ার বিজনেস24.কম


হায়রে বিদেশি বিনিয়োগ, তার মূল্য এত বেশি কেন

আমরা অনেকটা বেশিই কাতর বিদেশি বিনিয়োগের জন্য। নিজের দেশের অর্থ যে অলস পড়ে আছে তার কোনো খবর নেই। একসময় আমাদের বিদেশ থেকে ঋণ নিতে হতো বৈদেশিক মুদ্রা জোগান দেওয়ার জন্য। এখন অবস্থা সেটা নেই। এখন বাংলাদেশের অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আছে, যে মুদ্রার সিংহভাগ ব্যবহার না করার কারণে বিদেশি ব্যাংকে এক অর্থে অলস পড়ে আছে। বৈদেশিক মুদ্রার পোর্টফোলিও ম্যানেজ করা একটা স্কিলের বিষয়। বাংলাদেশ ব্যাংক নাকি এই ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে বেশ কিছু অর্থ হারিয়েছে। অবস্থাটা এমনও হতে পারে, বাংলাদেশ ব্যাংক এই মুদ্রা ডিপোজিট রাখা থেকে যে সুদ পায় তার থেকে বেশি অঙ্কের অর্থ হারিয়েছে শুধু আন্তবৈদেশিক মুদ্রাগুলোর বিনিময় হার (exchange rate) ওঠা-নামার কারণে। বাংলাদেশ ব্যাংক যে অর্থ ইউরো-পাউন্ডে রেখেছে ওই ক্ষেত্রে তার হার হয়েছে। কারণ হলো, গত এক বছর ধরেই ইউরো-পাউন্ড ইউএস ডলারের বিপরীতে শুধুই দুর্বল হয়েছে। ইউরোর দুর্বলতার কথা বাংলাদেশ ব্যাংক নাই বা বুঝতে পারল, কিন্তু পাউন্ড যে দুর্বল হতে যাচ্ছে তা তো আমরা এত দূর থেকেও বুঝতে পারছিলাম। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি সময়মতো পাউন্ড থেকে সরে না যায়, তাহলে সেটা তো পোর্টফোলিও ম্যানেজার হিসেবে তারই অদক্ষতা। কোনো পোর্টফোিলও ম্যানেজারই তার সম্পদ নিয়ে ঘুমিয়ে থাকে না। ঘুমিয়ে থাকলে সেই ব্যবস্থাপক অবশ্যই হারবে। শুধু সময়মতো পাউন্ড থেকে সরে অন্য মুদ্রায় না যাওয়ার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের যদি অর্ধশত কোটি টাকাও লোকসান যায়, সেটাও কম কি! জর্জ সরোজ (George Soros) বিশ্ববিখ্যাত অ্যাসেট ম্যানেজার। মুদ্রার ব্যবসা করে অর্থ রোজগারে তিনি অতি পারদর্শী। সেই সরোজ বলেছিলেন, Brexit-এর ফলে ব্রিটিশ পাউন্ড কমপক্ষে ৩০ শতাংশ মূল্য হারাবে। ৩০ শতাংশ হয়তো হারায়নি, কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রিটিশ পাউন্ড ২০ শতাংশ মূল্য হারায়। এটা তো সবাই বলছিল যে ইইউ থেকে বের হয়ে আসলে অন্তত স্বল্প মেয়াদে ব্রিটিশ পাউন্ড দুর্বল হবে। বাস্তবেও তাই হয়েছে। এখন বিকল্প হিসেবে মার্কিন ডলার বিনিময় বাজারে বেশ ওপরে আছে।

যাক, যা বলছিলাম, যেখানে বাংলাদেশের নিজের বৈদেশিক মুদ্রার অভাব নেই, যেখানে বাংলাদেশি লোকেরা নিজেরা হাত গুটিয়ে অর্থ নিয়ে বসে আছে, যেখানে বাংলাদেশের ধনীরা প্রতিবছর তিন থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের অর্থ পাচার করছে, সেখানে এ দেশের সবাই এত বিদেশি বিনিয়োগ চায় কেন? চাওয়াটা দোষের কিছু নয়। তবে সত্য হলো, বর্তমানে স্বদেশি ও বৈদেশিক বিনিয়োগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। বিদেশিরা এ দেশে অর্থ আনলে আবার খুশিমতো নিয়েও নিতে পারে। কোনো বাধা নেই। তারা শেয়ারবাজারেও অর্থ খাটাতে পারে। আবার স্বল্প দিনের ব্যবধানে সেসব শেয়ার বিক্রিও করে দিতে পারে। বাংলাদেশ নিজেও অনুমতি দিচ্ছে তার নাগরিকদের বিদেশে বিনিয়োগ-ব্যবসায় অর্থ খাটানোর জন্য। এখন অর্থের আগমন-নির্গমনের ক্ষেত্রে বর্ডার অনেকটা খোলা। তবে নিম্নমানের ক্ষেত্রে কিছু বাধা এখনো আছে। ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট কনভার্টিবল (convertible) না হওয়ার কারণে মুক্তভাবে দেশ থেকে বিদেশি মুদ্রা—ডলার-ইউরো-পাউন্ড বাইরে যেতে পারে না। তবে বিদেশিদের জন্য এই পথে কোনো বাধা নেই। বাধা যতটুকু আছে তা বাংলাদেশিদের জন্য। বিদেশি বিনিয়োগ কম আসবে না বেশি আসবে, তা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। তিনটি বিষয় এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এক. অভ্যন্তরীণ বাজারটা বড় কি না, এ ক্ষেত্রে বলা চলে বাংলাদেশের বাজার মধ্যম। প্রায় তিন কোটি মানুষ মধ্যবিত্তের মধ্যে আছে, যারা অনেক কিছুরই চাহিদা সৃষ্টি করে চলেছে। দুই. দেশে শান্তি আছে কি না। একটা যুদ্ধ যুদ্ধ আবহ থাকলে ব্যাপক অর্থে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসবে না, বাংলাদেশকে এ ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। তিন. স্বদেশি বিনিয়োগ বেশি হলে বিদেশিরাও বেশি বিনিয়োগ করবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান অতি নিম্ন। অন্য যে বিষয়টি বিদেশিরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেখে তা হলো, আমাদের অর্থনীতি অন্য একাধিক বড় ও মাঝারি অর্থনীতির সঙ্গে ভালোভাবে যুক্ত কি না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান অতি নিচের দিকে। আমরা এখনো কোনো মুক্ত অর্থনৈতিক ইউনিয়নের সদস্য হতে পারিনি। বা আমরা দ্বিপক্ষীয়ভাবে এখনো কোনো এফটিএ বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করতে পারিনি। আমাদের অর্থনীতির আকার নিয়ে বিশ্বে এখন একটিও অর্থনীতি পাওয়া যাবে না, যেটি এখন পর্যন্ত কোনো এফটিএর সদস্য হয়নি। বাংলাদেশ চেষ্টা করেছে, তবে সত্য হলো এ ক্ষেত্রে অর্জন শূন্য। বিশ্বে সামগ্রিকভাবে গ্লোবালাইজেশনের ক্ষেত্রে কাঁটা দেখা দিতে পারে। তবে আঞ্চলিক ভিত্তিতে মুক্ত অর্থনৈতিক ইউনিয়ন, একাধিক দেশের অংশগ্রহণে এফটিএ সই চলতে থাকবে।

বাংলাদেশকে আরো এগোতে হলে অন্যের সঙ্গে অন্যের বাজারে প্রবেশ করে এগোতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন আছে তা বুঝি। তবে যখন দেখি ওসব বিনিয়োগ থেকে বিদেশিরাই একচেটিয়াভাবে লাভবান হচ্ছে, তখন দুঃখ হয়। দেশের জনগণকে কোনো রকমের মালিকানা না দিয়ে অনেক বিদেশি কম্পানি অনেক মুনাফা করছে। সেসব মুনাফার ভাগীদার হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকার শেয়ারহোল্ডাররা, যে দেশে ওসব কম্পানি ব্যবসা করছে ওই দেশের লোকেরা শেয়ারহোল্ডার হতে চাইলেও হতে পারছে না। কারণ হলো, ওগুলো পুঁজিবাজারে আসেনি। আর আমাদের সরকারের উচ্চ মহল থেকেও ওগুলোকে আমাদের পুঁজিবাজারে আনার কোনো চেষ্টা-তদবির লক্ষ করা যায় না। আমরা সবাই জানি, কোনো বিদেশি কম্পানি সেধে বাংলাদেশিদের তাদের ইক্যুইটি ক্যাপিটালে মালিকানা দেবে না। তার পরও আমাদের সরকার এ ক্ষেত্রে নিশ্চুপ। এটাই দুঃখ দেয়। অথচ এসব বিদেশি কম্পানি ব্যাংকক, মুম্বাই, করাচির পুঁজিবাজারে ঠিকই তালিকাভুক্ত। বিদেশি কম্পানিকে আমরা সুবিধা দিতে যেন অনেক বেশি আগ্রহী। বিদেশি বিনিয়োগ যদি স্বদেশি বিনিয়োগ থেকে অধিক সুবিধা পায় সেটা কি যুক্তিসংগত? অনেক শর্ত মেনে সেই বিনিয়োগ নিতে হবে কেন? আইএফসি (International Finance Corporation-IFC) হলো বিশ্বব্যাংকের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। তবে এই প্রতিষ্ঠান বাজারের নিয়ম মেনে চলে। অন্য কথা হলো, এই প্রতিষ্ঠানের ক্যাপিটাল আসে পশ্চিমের বাজারগুলো থেকে। বাজার সুদে এই সংস্থা বন্ডসহ অন্যান্য হাতিয়ার বিক্রি করে পুঁজি সংগ্রহ করে। সেই পুঁজিকে বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করে অনেক লাভ করে। বাংলাদেশেও IFC-র বড় বিনিয়োগ আছে। আমাদের পাওয়ার সেক্টরে এই প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ আছে। আবার এই প্রতিষ্ঠান আমাদের ব্যক্তি খাতের জন্য বিদেশ থেকে বিনিয়োগ সংগ্রহ করে দেয়। আমার দেখা মতে, এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ভালোই লাভ করছে। অনেকটা নিশ্চিত মুনাফার পেছনে এই সংস্থা এ দেশে বিনিয়োগ করছে। বাজার অর্থনীতিতে ঝুঁকি আছে বলতে যা বোঝায়, তা এদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তেমন নেই। এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত কম্পানিতেও বিনিয়োগ করে, আবার উঠতি কম্পানিতেও বিনিয়োগ করে। তাদের বিনিয়োগ বিশ্লেষণক্ষমতা এক কথায় প্রফেশনাল। তাদের বিনিয়োগ থেকে যে এ দেশের অন্য বিনিয়োগকারীরা সব সময় উপকার পায় এমন নয়। একটা উদাহরণ দিই। কয়েক বছর আগে IFC এ দেশের প্রথম সারির একটি বীমা কম্পানিতে বিনিয়োগ করে। স্মরণ মতে, ওই সংস্থা বাজার থেকে অনেক শেয়ার কিনে নেয়। ওই বীমা কম্পানির শেয়ারদর ছিল ৭০ টাকা; IFC-র চাহিদা সৃষ্টির কারণে অথবা ওই সংস্থা ওই সাধারণ বীমা কম্পানির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে জেনে অনেক বিনিয়োগকারীর চাহিদা সৃষ্টির কারণে ওই বীমা কম্পানির শেয়ারমূল্য ১১০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে। আমি জানি না, ওই কম্পানি আলাদাভাবে IFC-র নামে কোনো অতিরিক্ত শেয়ার ইস্যু করেছিল কি না, অথবা ওই ক্ষেত্রে IFC ওই বীমা কম্পানির কাছে কোনো ঋণ (credit) বিক্রি করেছিল কি না। অনেক তথ্য সংবাদমাধ্যমে বের হয় না। ফলে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা কী শর্তে ওই বীমা কম্পানির সঙ্গে IFC যুক্ত হলো, ওই যুক্ত হওয়ার গভীরতা কত ইত্যাদি সম্পর্কে তেমন ধারণা পায়নি। শোনামতে, IFC ওই কম্পানির বোর্ডে দুজন পরিচালক দিতে পারবে বলে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দেখল IFC-র যুক্ত হওয়ার কারণে ওই কম্পানির ব্যবসার তেমন হেরফের হয়নি। ওই কম্পানি আগের তুলনায় ডিভিডেন্ডও (Dividend) কমিয়ে দিয়েছে। আর সেই সাধারণ বীমা কম্পানির শেয়ারদর পড়তে পড়তে একসময় ৪০ টাকায় এসে যায়। এখন অবশ্য ৬২ টাকা। তাহলে যারা উচ্চ আশা নিয়ে IFC-র সংযুক্তির কারণে ওই কম্পানির শেয়ার কিনেছিল ১০০-১১০ টাকায়, তাদের ক্যাপিটাল লস কত একবার হিসাব করে দেখুন।

অতি সাম্প্রতিক একটি উদাহরণ দিয়ে এই লেখা শেষ করব। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিস্টেড একটি কমার্শিয়াল ব্যাংক IFC থেকে বড় রকমের বিনিয়োগ গ্রহণ করেছে। এই বিনিয়োগের বিপরীতে ওই ব্যাংক এই সংস্থাকে প্রতিটি শেয়ার ২৮ টাকা ৩০ পয়সা মূল্যে চার কোটি ৬৫ লাখ ২৩১টি শেয়ার ইস্যু করে। এ ক্ষেত্রে IFC বাজার থেকে শেয়ার কেনেনি, তাদের হিসাব করা বাজারমূল্যে তারা এই শেয়ার সরাসরি ব্যাংকের ইক্যুইটি বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্জন করে। ওই ব্যাংকের ম্যানেজমেন্ট বোর্ড তাতে সায় দেয় এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক এজিএম করে কথিত শেয়ারহোন্ডারদের থেকে অনুমোদন নেয়। পরে রেগুলেটর BSEC থেকেও অনুমোদন নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু শর্ত সাপেক্ষে ওই প্রস্তাব অনুমোদন করে। তবে এ ক্ষেত্রে যেটা লক্ষণীয় সেটা হলো, IFC শেয়ার নিয়েই সন্তুষ্ট থাকেনি। একটি বড় অঙ্কের ঋণও তারা ওই ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে। সেই ঋণের পরিমাণ হলো দুই কোটি ইউএস ডলার। আর ব্যাংক সেই ঋণ শোধ করবে অতিরিক্ত শেয়ার ইস্যু করে। এখানে বলা হয়েছে, ঋণের আংশিক বা পূর্ণ অর্থই পরে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে। তাহলে ভাবুন, নতুন শেয়ার ইস্যু করার ফলে ও ভবিষ্যতে ঋণের বিপরীতে আরো শেয়ার ইস্যু করার ফলে ওই ব্যাংকের ইক্যুইটি স্ট্রাকচারে (Equity structure) কেমন পরিবর্তন হবে। এতে যারা বাজার থেকে ৪০-৪৩ টাকা করে ওই ব্যাংকের শেয়ার কিনল তারা শেষ পর্যন্ত পোষাতে পারবে তো! বহির্লাভ শুধুই IFC-র। ২৮.৩০ টাকা মূল্যে শেয়ারও পেল, আবার বড় অঙ্কের ঋণও বেচতে পারল। সফলতা সবই IFC-র।

তবে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি প্রশ্ন তোলা যায়। এক. একটা লিস্টেড কম্পানি বাজারের বাইরের কোনো বিনিয়োগকারীকে অতিরিক্ত শেয়ার ইস্যু করতে পারে কি না। আমার জানামতে, পেইড-আপ (Paid up) ক্যাপিটাল বাড়াতে হলে সব শেয়ারহোল্ডারকেই রাইট শেয়ার অফার করতে হয়। কোনোভাবে অন্য কারোর পক্ষে বিশেষ মূল্যে অতিরিক্ত শেয়ার ইস্যু করা যায় না। এই পথ যদি খোলা থাকত, তাহলে অন্য লিমিটেড কম্পানিও এ পথে অতিরিক্ত শেয়ার ইস্যু করত। দ্বিতীয়ত. শেয়ার ইস্যুর শর্ত হিসেবে IFC থেকে ওই ব্যাংকের ঋণ কিনতে হবে কেন? ব্যাংকের জন্য বিদেশি মুদ্রায় ও ঋণ এতই কি জরুরি ছিল? অন্য যে প্রশ্নটি আমাদের বিনিয়োগকারীদের করতে চাই, তারা কোন হিসাবে এই ব্যাংকের শেয়ারকে এত উচ্চমূল্যে খরিদ করতে উঠেপড়ে লাগল? ভবিষ্যতে ওই ব্যাংকের যে বিশাল ইক্যুইটি হবে সে তুলনায় ওই ব্যাংকের ব্যবসা বাড়বে তো? আমি জানি না BSEC পুরো স্কিমটা অনুমোদনের ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থটা গভীরভাবে চিন্তা করেছিল কি না। আমার ভয় হয়, আমাদের বিনিয়োগকারীরা এ ক্ষেত্রে ঠকবে। সেটা অবশ্য ভবিষ্যৎ বলবে।

লেখক : অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: