০২ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার, ০৯:৩২ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
কোচিং সেন্টারের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বেশ জোরেশোরেই মাঠে নেমেছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দুই সিটির অধীনে ১৪টি কোচিং সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের পর এবার ১০টি কোচিং সেন্টার ও স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
ডিএসসিসির পূর্বানুমোদন না নেওয়া এবং যত্রতত্র ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে সৌন্দর্যহানি ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরির অভিযোগে গত ২৮ ডিসেম্বর এই মামলা করা হয়।
যাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে সেই কোচিং সেন্টার ও স্কুলগুলো হলো আজিমপুরের এক্সপার্ট একাডেমিক কোচিং, গ্লোরিয়াস স্কুল, শহীদ ক্যাডেট একাডেমি এবং অনার্স কোচিং সেন্টার, সিদ্ধেশ্বরীর গেটওয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, রে মন্টেসরী স্কুল, কম্বাইন্ড টিউটোরিয়াল স্কুল, শান্তিনগরের গ্রিন হিল টিউটোরিয়াল, শান্তিনগর মোড়ের উদ্ভাস কোচিং সেন্টার, বড় মগবাজারের সানি হিলস স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সিটি করপোরেশনের বিজ্ঞাপন নীতিমালার আলোকে এ মামলা করা হয়।
ডিএসসিসির উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর ওই ১০টি কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের টানানো ব্যানার-ফেস্টুনগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, সেগুলোর কাছে চিঠি যাবে। ওই সব প্রতিষ্ঠানের সবার ট্রেড লাইসেন্সও নেই।
ডিএসসিসির রাজস্ব তত্ত্বাবধায়ক ও মামলার প্রসিকিউটর মো. আবু রায়হান বলেন, ডিএসসিসির স্পেশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। বিজ্ঞাপনের আইন ও বিধি অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন আদালত।
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৬টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৮টি কোচিং সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল। ডিএসসিসির অধীনে বাতিল করা কোচিং সেন্টারগুলো হলো আরামবাগের উদ্ভাস একাডেমিক অ্যান্ড অ্যাডমিশন কেয়ার, উন্মেষ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল অ্যাডমিশন কেয়ার, পীর জঙ্গির মাজার মসজিদ মার্কেটের রিলায়েন্স কোচিং, পুরান ঢাকার ইউনাইটেড স্কলার্স, গাইড হাউস, ওভিসি কোচিং সেন্টার, কোর এডুকেশন এবং বিদ্বান একাডেমিক্যাল কোচিং।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) লাইসেন্স বাতিল করা ফার্মগেট এলাকায় অবস্থিত ছয়টি কোচিং সেন্টার হলো ইউসিসি, ইউনিএইড, আইকন, আইকন প্লাস, ওমেগা ও প্যারাগন কোচিং সেন্টার। ডিএনসিসি তখন জানিয়েছিল, একাধিকবার সতর্ক ও জরিমানা করা সত্ত্বেও অবৈধ ও অননুমোদিত পোস্টার, সাইনবোর্ড ও ফেস্টুন অপসারণ না করায় ওই কোচিং সেন্টারগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
আইন অনুযায়ী বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টার নিষিদ্ধ না হলেও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়ায় সব ধরনের কোচিং ও প্রাইভেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টারগুলো সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলে। বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত কোচিং সেন্টারগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় বিতর্ক উঠেছে। কখনো কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিকেন্দ্রিক জালিয়াতির সঙ্গে কিছু বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টারের নামও এসেছে। কখনো প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গেও বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের নাম এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনও বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টারগুলোর মালিকদের অবৈধ সম্পদ খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।