২৮ আগস্ট ২০১৭ সোমবার, ০৬:১৮ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
আমদানি সত্বেও বেড়েছে চালের দামসরকারি-বেসরকারিভাবে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশের অন্যতম চালের মোকাম কুষ্টিয়ায় সব ধরনের চালের দাম গেল এক সপ্তাহে কেজিপ্রতি বেড়েছে তিন টাকা।
সপ্তাহখানেকের মধ্যে দাম আরও অন্তত এক টাকা করে বাড়তে পারে এবং ঈদের পরও দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে এমন শঙ্কার কথাও শোনালেন মিলমালিকেরা। তারা বলেন, চিকন জাতের ধানের সংকট ও ধানের দাম দফায় দফায় বেড়ে যাওয়ায় চালের বাজারে প্রভাব পড়েছে।
চালকলের মালিক ও ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯ আগস্ট খাজানগর এলাকার চালের মোকামে প্রতি কেজি মিনিকেট ৫০ টাকা, বাসমতি ৬২ ও আটাশ চাল ৪৬ টাকা দামে বিক্রি হয়েছিল। এই শনিবারে মিনিকেট ৫২ টাকা, বাসমতি ৬৪ ও আটাশ ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ, সাত দিনের ব্যবধানে এই তিন ধরনের চালে কেজিপ্রতি ২ টাকা করে দাম বেড়েছে। অথচ মাত্র ২৪ ঘণ্টা পর গতকাল রোববার মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি আরও ১ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ৫৩ টাকায়।
চালকলের মালিকেরা জানান, বন্যায় উত্তরাঞ্চলে ধান ডুবে গেছে। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী চিকন চালের ধান পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু পাওয়া গেলেও আবার দাম বেশি, পরিবহন খরচও বেড়েছে। সে জন্য চালের ‘একটু ক্রাইসিস’ চলছে এবং দাম বাড়াতে হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের।
মালিকরা জানান, তিন মাস আগে ৯০০ টাকা মণ দরে যে ধান পাওয়া যেত, এখন তা ১ হাজার ২৫৯ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। এই ধান মিলে আনতে ভাড়া লাগছে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এক মণ ধান থেকে ২৬ কেজি পর্যন্ত চাল হচ্ছে। সব মিলিয়ে চালের উৎপাদন খরচ পড়ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রোববার বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, ‘বাজারে চিকন বা সরু চালের ধান নেই। যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম প্রতিদিন বাড়ছে। নতুন ধান উঠতে আরও চার মাস বাকি। তাই চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
এই সমিতির কুষ্টিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান বলেন, সাধারণত বগুড়া, জয়পুরহাট, শেরপুরসহ উত্তরের জেলাগুলোয় বিনা-৭ ও বিনা-৫ জাতের ধান প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয়। কিন্তু বন্যায় এসব জেলায় ধান ডুবে যাওয়ায় মোকামে সরবরাহ কমে গেছে। আর গুদামে যে ধান মজুত আছে, তা কিছুদিন পর শেষ হয়ে যাবে।
,
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।