facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

আইপিও নীতিমালা সংশোধন


২৮ এপ্রিল ২০১৭ শুক্রবার, ০৪:০৩  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


আইপিও নীতিমালা সংশোধন

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা তথা পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আইপিও নীতিমালায় সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী, পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ায় মূলধন সংগ্রহ করতে চাইলে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে কোনো কোম্পানির ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা হতে হবে এবং পুঁজিবাজার থেকে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়তে হবে। একইভাবে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হতে চাইলে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা এবং কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়তে হবে।

বৃহস্পতিবার বিএসইসি’র কমিশন সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫-এর সংশোধনী আনা হয়।

বিএসইসির মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধনীর কথা উল্লেখ করে বলা হয়, জনমত জরিপের জন্য সংশোধনীটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

সংশোধনীতে জানানো হয়েছে, কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, পারস্পরিক যোগসাজশে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় শেয়ার নির্ধারণের সুযোগ বন্ধ করতে যতটা কঠোর হওয়া প্রয়োজন, ততটাই কঠোর হবে বিএসইসি। বিদ্যমান আইনের দুর্বলতা পরিহারের পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে কেউ আইনের দুর্বলতাকে ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যবস্থা থাকবে নতুন সংশোধনে। আইনটি পুনরায় সংশোধনের আগে আর কোনো কোম্পানিকে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় মূলধন সংগ্রহের অনুমতি না দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করেছেন কমিশন কর্মকর্তারা।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা (ইলিজিবল ইনভেস্টর) তাদের জন্য নির্ধারিত কোটার সর্বোচ্চ দুই শতাংশ পরিমাণ শেয়ার বা সিকিউরিটিজ প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। এছাড়া বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিংয়ে সব যোগ্য বিনিয়োগকারীর আবেদনের পরিমাণের ভিত্তিতে আনুপাতিক হারে তারা সিকিউরিটিজ বরাদ্দ পাবে।

বিদ্যমান আইনে কোনো কোম্পানিকে আইপিও প্রক্রিয়ায় কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহের শর্ত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে আইপিওতে আসা কোম্পানিকে কমপক্ষে দেড় কোটি শেয়ার বিক্রি করতে হয়। তবে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় কোনো কোম্পানির প্রিমিয়ামসহ শেয়ারদর (কাট-অব-প্রাইস) বেশি নির্ধারিত হলে, যাতে দেড় কোটির কম শেয়ার ইস্যুর প্রয়োজন হতে পারে, এমন ক্ষেত্রে আইপিওটি বাতিলের বিধান রয়েছে।

সংশোধনীতে কোম্পানির স্পন্সর, ডিরেক্টর এবং ১০ শতাংশের অধিক ধারণকৃত শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার তিন বছরের জন্য লক-ইন থাকবে। আর অন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধারণকৃত শেয়ারের ওপর এক বছরের লক-ইন থাকবে। আগে পাঁচ শতাংশের অধিক ধারণকৃত শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার তিন বছরের জন্য লক-ইন ছিল।

কর্মকর্তারা জানান, নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকার মূলধন (পরিশোধিত মূলধনের হিসাবে) বা তিন কোটি শেয়ার ইস্যুর বাধ্যবাধকতা আরোপ হলে অতিরিক্ত প্রিমিয়াম নির্ধারণের সুযোগ বন্ধ হবে। বিশেষত যেসব কোম্পানি এরই মধ্যে তাদের মূলধন উত্তোলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, সেগুলো বেকায়দায় পড়তে পারে। এসব কোম্পানি তাদের মূলধন উত্তোলনের লক্ষ্য পুনর্নির্ধারণ না করে এ প্রক্রিয়ায় এলে কাঙ্ক্ষিত প্রিমিয়াম পাওয়ার সুযোগ থাকবে না।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: