facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

অবৈধভাবে মাটি কাটার প্রতিবাদে নারীদের ঝাড়ু মিছিল


১৩ জানুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার, ০৫:০১  পিএম

এমএ ওয়াদুদ মিয়া, শরীয়তপুর

শেয়ার বিজনেস24.কম


অবৈধভাবে মাটি কাটার প্রতিবাদে নারীদের ঝাড়ু মিছিল

শরীয়তপুর সদর উপজেলার পূর্ব কোটাপাড়ায় কীর্তিনাশা নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করছে প্রভাবশালীরা। মাটি কাঁটার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়িসহ কোটাপাড়া-শরীয়তপুর সড়কে যাওয়ার প্রধান সড়কটি। ট্রাক এবং ট্রলি দিয়ে মাটি নেওয়ার ফলে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যেতে আসতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করা হলেও প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি।

শুক্রবার সকাল ১০টায় এর প্রতিবাদে স্থানীয় জনগণ বিশেষ করে নারীরা কোটাপাড়া-শরীয়তপুর সড়কে ঘণ্টাব্যাপী ঝাড়ু মিছিল করেছে। মিছিলে মাটি কাঁটা বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

পালং ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডে সাবেক সদস্য মো. কামাল উদ্দিন সরদার এবং স্থানীয় শরীয়তউল্লাহ শরীফ, ঈমান উদ্দিন শরীফ জানান, শরীয়তপুরের পূর্ব কোটাপাড়া গ্রামে কীর্তিনাশা নদীর তীরবর্তী মাহড়া বাড়ির ঘাট এবং খলিফা বাড়ির ঘাট থেকে ভ্যাকু দিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করছে আনিছ বেপারী, গিয়াস উদ্দিন খলিফা, নুরুল হক খলিফা, হাই বক্স খলিফা, কুদ্দুস পেদা, হাফিছ শেখ, আবদুর রহমান শেখ, মোহাম্মদ আলী শেখ, বিল্লাল শেখ, মোরশেদ শেখ, জাহাঙ্গীর শেখসহ প্রভাবশালীরা। আর এ মাটি কাঁটার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বসত বাড়িসহ কোটাপাড়া-শরীয়তপুর সড়কে উঠার একমাত্র রাস্তাটি। ট্রাক এবং ট্রলি দিয়ে মাটি নেওয়ার কারণে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যেতে আসতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। আর প্রতি দিনই ঘটছে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা। মাটি কেটে নেওয়ার কারণে ধুলা বালিতে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে।

অবৈধভাবে মাটি কাটার ফলে সরকার লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করেই অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

পূর্ব কোটাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আবদুল বারেক বেপারী বলেন, নদীর পার এবং সরকারি জায়গা থেকে মাটি উত্তোলন করার কারণে আমাদের ফসলী জমিসহ বাড়িঘর হুমকির সম্মূখীন হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের কাঁচা রাস্তাটির উপর দিয়ে প্রতিদিন ২৫/৩০ বার ট্রাক এবং ট্রলি দিয়ে মাটি নেওয়ার কারণে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে মাটি কাটা বন্ধসহ রাস্তাটি সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

পূর্ব কোটাপাড়া গ্রামের আরেক বাসিন্দা মো. শাহজাহান ফরাজী বলেন, অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে ধুলা বালিতে শিশু এবং বৃদ্ধরাই বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। ধূলার কারণে আমাদের পানের বোরজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শরীয়তপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ফল পাইনি।



মাটি বিক্রেতা গিয়াস উদ্দিন খলিফা বলেন, সরকারি জায়গায় থেকে আমিসহ অনেকেই মাটি বিক্রি করেছে। তবে এভাবে মাটি কাটা ঠিক হয়নি।

আরেক মাটি বিক্রেতা নুরুল হক খলিফা বলেন, এ জমি সরকারের নয়। এ জমি আমার। এ জমি থেকে মাটি বিক্রি করলে সরকারের তো সমস্যা হওয়ার কথা না।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, মাটি কাঁটা বন্ধের ব্যাপারে কেউ আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

গ্রামবাংলা -এর সর্বশেষ