facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

অন্তঃসত্ত্বা নারীরা খুঁজছে ‘ভুয়া বাবা’


০৮ জুন ২০১৭ বৃহস্পতিবার, ০২:২৪  এএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


অন্তঃসত্ত্বা নারীরা খুঁজছে ‘ভুয়া বাবা’

জার্মানিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অভিবাসী অন্তঃসত্ত্বা নারীরা অর্থের বিনিময়ে পুরুষদের নিজের অনাগত সন্তানের ভুয়া বাবা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এরপর ওই জার্মান পুরুষের স্ত্রী হিসেবে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বাসের আবেদন করছেন অভিবাসী অন্তঃসত্ত্বা নারীরা। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নাম নিবন্ধন হলেই সে জার্মান নাগরিক। আর সেই সঙ্গে শিশুর মা হিসেবে ওই নারীও জার্মানিতে স্থায়ীভাবে থাকতে পারবেন।

জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম আরবিবি তাদের অনুসন্ধানে দেখেছে, রাজধানী বার্লিনেই এ ধরনের সাত শতাধিক ঘটনা আছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ওলে স্ক্রোডার বলেন, এ ধরনের অসংখ্য ঘটনা আছে, যা এখনো প্রকাশ হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ভিয়েতনাম, আফ্রিকা ও পূর্ব ইউরোপের অন্তঃসত্ত্বা অভিবাসী নারীদের জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করার সংখ্যা বেড়েছে। ভুয়া বাবা বা অভিভাবক বানানোর এ প্রবণতা রুখতে একটি নতুন আইনের খসড়াও তৈরি করা হয়েছে।

অভিবাসী অন্তঃসত্ত্বা নারীরা তাদের অনাগত সন্তানের বাবার পরিচয় নিবন্ধন করতে বেশ অর্থ খরচ করেন। এ বাবদ তারা ওই জার্মান ভুয়া বাবা ও আইনজীবীকে প্রায় ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৬১৬ টাকা (পাঁচ হাজার ৬২৮ ডলার) পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। নিবন্ধন হয়ে গেলেই ওই সন্তান জার্মানির নাগরিক হয়ে যাবে, আর মা হিসেবে ওই নারীর স্থায়ীভাবে থাকারও অধিকার থাকবে।

২০১৫ সালের পর থেকে জার্মানিতে শরণার্থী আইন কিছুটা কঠোর করা হয়েছে। সে সময় সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে আট লাখের বেশি মানুষ শরণার্থী হিসেবে জার্মানিতে আশ্রয় নিয়েছিল। ২০১৬ সাল থেকে এ ধরনের আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে।

বার্লিনে আইনজীবী মার্টিন স্টেল্টনার এআরডি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ভুয়া বাবা সেজে অর্থ আয় করা জার্মান পুরুষের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। তিনি এমন এক ব্যক্তিকে দেখেছেন, যিনি একসঙ্গে নিজেকে ১০ সন্তানের বাবা হিসেবে দাবি করেছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সেন্টার-রাইট ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটসের (সিডিইউ) সদস্য ওলে স্ক্রোডার বলেন, ‘অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে, ভুয়া বাবা সেজে অনেকেই মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এটাও একধরনের অপরাধ, যা মোটেও সমর্থন করা হবে না।’

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

বিশেষ প্রতিবেদন -এর সর্বশেষ