facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

অখ্যাত কোম্পানির দর বাড়ছে লাফিয়ে


১৪ জুলাই ২০১৭ শুক্রবার, ১১:১৩  এএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


অখ্যাত কোম্পানির দর বাড়ছে লাফিয়ে

পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিনিয়োগের অনুকূলে থাকায় সম্প্রতি অধিকাংশ মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে আর্থিকভাবে নাজুক অবস্থায় থাকা কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর। ইতোমধ্যে কিছু শেয়ার গত দুই-তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ফুওয়াং ফুড, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, কেয়া কসমেটিকস, রহিমা ফুড, মেঘনা পিইটি ও বিচ হ্যাচারিরসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান। এছাড়া কেপিপিএল, ম্যাকসন স্পিনিং, জুট স্পিনার্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, তুংহাই নিটিংসহ বিভিন্ন খাতের কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর লাগামহীনভাবে বাড়ছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এসব শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী বলেন, ‘একজন বিনিয়োগকারীর শেয়ার কেনার আগে মাথায় রাখা উচিত ওই শেয়ারের প্রকৃত মূল্য কত হতে পারে। যদি মনে হয়ে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবেচনায় শেয়ারের দর বেশি, তাহলে ওই শেয়ারে বিনিয়োগ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’

একই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘কিছু কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি হচ্ছে। ঊর্ধ্বমুখী বাজারে তারা সব সময়ই এ সুযোগ নিতে চায়। যেহেতু এরা নিয়মের মধ্যে থেকেই সব কর্মকাণ্ড ঘটায়, তাই এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়াও মুশকিল। তাই এ বিষয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার বিকল্প নেই।’

অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘২০১০ সালে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, তাদের বেশিরভাগই কিনেছিলেন অতিমূল্যায়িত শেয়ার। পরবর্তী সময়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় ওইসব বিনিয়োগকারীকে। কেউ কেউ যার খেসারত এখনও দিয়ে যাচ্ছেন। বিনিয়োগকারীদের আগের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।’

প্রাপ্ত তথ্যমতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি মেঘনা পিইটির শেয়ার গতকাল ১২ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়, যা ছিল গত দুই বছরের মধ্যে এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের সর্বোচ্চ দর। অথচ এ সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার সর্বনিম্ন চার টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়। যদিও ডিএসইতে দেওয়া কোম্পানির প্রোফাইলে দুই বছরের মধ্যে এ শেয়ার ১৩ টাকায় লেনদেন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু গ্রাফের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। কোম্পানির ভাষ্যমতে, সম্প্রতি দরবৃদ্ধির কোনো সংবেদনশীল তথ্যও নেই তাদের কাছে। কিন্তু তারও বিরামহীনভাবে বাড়ছে দর। একইভাবে গত দুবছরের সর্বোচ্চ দরে বিক্রি হয় ফুওয়াং ফুড়ের শেয়ার। গতকাল দিনশেষে এ শেয়ার হাতবদল হয় ২৪ টাকা ৮০ পয়সায়। কয়েক মাস আগেও এ শেয়ারের দর ছিল ১২ টাকা ৪০ পয়সা। অন্যদিকে গতকাল রহিমা ফুডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয় ১৬২ টাকা। কোনো কারণ ছাড়াই একসময় ৩৬ টাকা দরে কেনাবেচা হওয়া শেয়ার গতকাল এমন দরে বিক্রি হয়। আরেক দুর্বল কোম্পানি মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের শেয়ার গতকাল ১৫ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়। এক বছর আগে এ শেয়ার বিক্রি হয় ছয় টাকা ৬০ পয়সায়।

এছাড়া বিভিন্ন খাতের কিছু কোম্পানির শেয়ার অতিমূল্যায়িত বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বিষয়টিতে এখনই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বিনিয়োগকারীদের। অন্যথায় একসময় তাদের চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: