facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

চিনির দাম কমেছে বস্তায় ২৫০ টাকা


২৩ নভেম্বর ২০১৬ বুধবার, ০৪:৪৫  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


চিনির দাম কমেছে বস্তায় ২৫০ টাকা

নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে কমতির দিকে আছে চিনির দাম। এক মাসের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কমেছে বস্তায় (প্রতি বস্তা ৫০ কেজি) ২৫০ টাকা। সে হিসাবে কেজিতে পণ্যটির দাম ৫ টাকা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় চিনির দাম এখন নিম্নমুখী।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরকারি মিলে উৎপাদিত চিনি প্রতি বস্তা ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে তা ৩ হাজার ২৫০ টাকায় লেনদেন হয়েছিল। অন্যদিকে গতকাল সরকারি মিলের চিনি বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে, যা এক মাস আগে ৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছিল।

নিতাইগঞ্জের গোপীনাথ ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী দীলিপ সাহা জানান, বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় চিনির দাম কমতির দিকে রয়েছে। বর্তমানে সরকারির তুলনায় বেসরকারি মিলে উৎপাদিত চিনির দাম বাড়তির দিকে আছে। সরকারি মিলের চিনি দেখতে লালচে ও মোটা দানার হওয়ায় অনেকে পছন্দ করেন না। অন্যদিকে বেসরকারি মিলের চিনি দেখতে সাদা, চিকন হওয়ায় অনেকের কাছে তা বেশ জনপ্রিয়। এ কারণে সরকারি মিলে উৎপাদিত চিনির চেয়ে বেসরকারি মিলে উৎপাদিত চিনি বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
নিতাইগঞ্জে এখন বেসরকারি মিলে উৎপাদিত চিনি বস্তাপ্রতি ৩ হাজার ১০০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ে ৬২ টাকা। অন্যদিকে ৩০ দিন আগে বেসরকারি মিলে উৎপাদিত ৫০ কেজি বস্তার চিনি বিক্রি হয় ৩ হাজার ৩৫০ টাকায়। ওই সময় পণ্যটি কেজিপ্রতি ৬৭ টাকায় লেনদেন হয়েছিল। নিতাইগঞ্জে বর্তমানে প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ৬৮-৭৬ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জের চিনি ব্যবসায়ী আব্দুস সবুর জানান, চিনির মূল্যহ্রাসের পাশাপাশি বিক্রিও কমেছে। শীতে পণ্যটির চাহিদা কমায় ব্যবসায় মন্দা চলছে।

নারায়ণগঞ্জ সুগার অ্যান্ড অয়েল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শংকর সাহা জানান, বাংলাদেশে চিনি উৎপাদন করে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। মুক্তবাজার অর্থনীতির কথা বলে তারা ইচ্ছামাফিক বাজারদর নির্ধারণ করে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিকল্প কোনো চিনির মিলের ব্যবস্থা না থাকায় তারা একচেটিয়া ব্যবসা করছে। ফলে ব্যবসায়ীদের বাধ্য হয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের বেঁধে দেয়া দামেই চিনি বেচাকেনা করতে হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো তদারক সংস্থা নেই। সরকার মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় কোনো কারণ ছাড়াই পণ্যের দাম প্রায় বাড়ে আবার কমে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: